চাঁদের পাহাড়
“মানুষের আয়ু মানুষের জীবনের ভুল মাপকাঠি।” উক্তিটি শঙ্করের। হ্যা, চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর।
বাঙালি কিশোরদের মাঝে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি আবেদন তৈরি করা উপন্যাস এটি। বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের একটি অমর সৃষ্টি এটি। একজন সাধারন বাঙালী যুবকের অসাধারণ হয়ে ওঠার কাহিনী চাঁদের পাহাড়।
অজপাড়াগায়ের দুরন্ত যুবক শঙ্কর। পড়াশুনা শেষে গ্রামে অলস সময় কাটাচ্ছিল। এক দুঃসাহসিক আত্মীয়ের মাধ্যমে খুলে যায় স্বপ্ন পুরনের পথ। সাধারণ পাটকল শ্রমিক হওয়ার পরিবর্তে ভাগ্য তাকে টেনে আনে আফ্রিকায়।
আফ্রিকা। শঙ্করের স্বপ্নের সিড়ি। রেললাইনের শ্রমিক শঙ্কর দেখতে পায় আফ্রিকার ভয়াল রুপ। মৃত্যু যেন এ দেশে হানা দেয় ভয়াল গ্রাসে। নির্জন স্টেশনে রাতভর সিংহের গর্জন, ব্লাক মাম্বা আর দিনে চাকরি। একপর্যায়ে ডিয়াগো আলভারেজকে জানে বাঁচিয়ে দেয় শঙ্কর। পরে আলভারেজসহ পাড়ি দেয় অবিশ্বাস্য এক অভিযানে যার পরতে পরতে রোমাঞ্চ। শঙ্কর ও আলভারেজ মিলে কি পারবে তাদের অভিযান শেষ করতে? নাকি আফ্রিকার ভয়াল সৌন্দ্রর্য গ্রাস করবে তাদের? কি ঘটেছিলো তাদের ভাগ্যে?
রোমাঞ্চ, সাহস, বন্ধুত্ব, প্রকৃতির এক অসাধারণ মিশেল চাঁদের পাহাড়। দেখা মেলে রিখটারসভেল্ড পর্বতমালার।
বিভূতিভূষণের এক অসাধারণ সৃষ্টি চাঁদের পাহাড়। লেখক যে শুধু পুথি অর্জিত ভুগলের জ্ঞান দিয়ে বিভিন্ন স্থান ও ঘটনার অসামান্য বর্ননা দিয়েছেন তা অবিশ্বাস্য।
ভাললাগা বইগুলোর উপরের সারিতে আছে চাঁদের পাহাড়। তাহলে দেরি কেন? শুরু করুন, হারিয়ে যান আফ্রিকা ও শঙ্করের স্বপ্নের জগতে।

