থিংক এন্ড গ্রো রিচ
বইটির শিরোনাম "থিংক এন্ড গ্রো রিচ"। সহজ বাংলায় এর পরিভাষা অনেকটা এমন " ভাবুন এবং নিজেকে ধনী বা সমৃদ্ধ করুন"।
" থিংক এন্ড গ্রো রিচ " বইটি আমেরিকান লেখক নেপোলিয়ন হিলের একটি অমর সৃষ্টি। লেখক তার পূর্ববর্তী বই "দ্যা ল অফ সাকসেস" থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে বইটি লিখেন। বইটির সর্বপ্রথম প্রকাশকাল ১৯৩৭ সালে। অদ্যাবধি বইটির অনেক পরিমার্জন- পুনঃসংস্করন হয়েছে। বইটিকে সর্বকালের অন্যতম বেস্টসেলার বই-ও বলা হয়ে থাকে। বইটিকে সকল আত্ম-উন্নয়নমূলক বইয়ের মধ্যে সেরা হিসেবে সকল পাঠক বোদ্ধা ও সমালোচকরা গননা করে থাকেন।
বইটির বিষয়বস্তু মূলত আত্ম-উন্নয়ন, নিজের সংস্কার করা। লেখক বইটিতে বিশেষ বিশেষ কিছু সফল মানুষের কথা বলেছেন, যারা নিজ চেষ্টায় সফলতার চূড়ায় উঠেছেন। লেখক দীর্ঘ ২০ বছর সেইসব মানুষদের অভ্যাস, আত্মচেষ্টা, নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে ভেবেছেন।
তার এই দীর্ঘ সময়ের পর্যবেক্ষনে তিনি সফল মানুষদের জীবন থেকে ১৬টি "আইন" বের করেছেন, যা এতগুলো সাধারণ মানুষকে সফলতার চূড়ায় পৌছে দিয়েছে। তিনি ১৪টি মূলনীতি বেছে নিয়েছেন। দেখিয়েছেন সফলদের জয়গান। তার নীতিগুলো চিত্রিত করার জন্য তিনি অ্যান্ড্রু কার্নেগি, টমাস এডিসন, হেনরি ফোর্ড এবং তাঁর প্রজন্মের অন্যান্য মিলিয়নিয়ারদের গল্প বেছে নিয়েছেন। বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন সম্পদশালী মানুষদের। বিখ্যাত ব্যাবসায়ী ও সমাজসেবক অ্যান্ডু কার্নেগী লেখক নেপোলিয়ন হিলকে বইটি লিখতে গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেন। তার দর্শনকে পুরোপুরি বদলে দেন এবং বদলে দেন জীবনদর্শন বইয়ের ভবিষ্যৎ।
সর্বোপরি, ইচ্ছা, বিশ্বাস, অধ্যবসায় ও নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দমন করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যগুলিতে মনোনিবেশ করতে পারে তবে তা ব্যাক্তিকে সফল হতে সাহায্য করে৷ সাহায্য করে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে। সেই সাথে বইটি পাঠককে বহুল আলোচিত প্রশ্ন " কি জিতবে? কে সফল হবে? কিভাবে হবে?"-এর উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে। বইটি যেন সাফল্যের অলিখিত মূলমন্ত্র।

